আমাদের সম্পর্কে
পিপল রিএনিমেট এ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি (প্রাক)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধন লাভ করে ২০০২ সালের ২৩শে জুন, নিবন্ধন নং (৮-০৭০৬৯)। প্রাকের বর্তমান চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব:) অধ্যাপক ডাঃ জেহাদ খান।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে শামিল করা এবং সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা।
সুবিধা বঞ্চিত, নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার অংশ হিসাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ্য ও কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
আমাদের প্রিয় জনাভূমি বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের মত মানুষের মৌলিক অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে এ জনপদের মানুষ মুক্তি পায়নি। এখনো রাস্তার পাশে, স্টেশনে, গাছতলায়, ফুটপাতে অসংখ্য মানুষ অমানবিক জীবন-যাপন করছে। চিকিৎসার অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে, এমনকি অকালে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। রাস্তায় বা বস্তিতে অবহেলায় বেড়ে ওঠা পথশিশুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো ঢাকা শহরের ডাষ্টবিনে খাবারের সন্ধান করে পথশিশুরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারী ২০২২ তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা প্রায় সাড়ে তিন হাজার বস্তিতে আনুমানিক ০৯ লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। যাদের উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবকরা সমাজ ও পরিবারের কাছে বোঝা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে জীবনধারণের জন্য নানা অপরাধের পথে পা বাড়াচ্ছে। কেউবা এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে তারা দেশ গড়ার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের এই সব অসহায় মানুষদের প্রতি রয়েছে দায়বদ্ধতা। আর এই দায়বদ্ধতা থেকেই পিপল রিএনিমেট এ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি (প্রাক)-এর পথচলা।